মক্কার গভর্নর কুছাম ইবনে আব্বাসের প্রতি
পশ্চিমে নিয়োজিত আমার গুপ্তচর আমাকে লেখে’ পাঠিয়েছে যে, সিরিয়ার কিছু লোক হজের জন্য প্রেরিত হয়েছে, যাদের হৃদয় অন্ধকারাচ্ছন্ন, কর্ণ বধির এবং যারা দূরদৃষ্টি বিবর্জিত। তারা সত্যের সাথে মিথ্যার তালগোল পাকিয়ে ফেলে, আল্লাহ অবাধ্য ব্যক্তিকে মেনে চলে, দ্বিনের নামে দুনিয়ার ফয়দা লুট করে এবং ধাৰ্মিক ও খোদাভীরুদের পুরস্কার পরিত্যাগ করে দুনিয়ার সুখের ব্যবসায় করে। মঙ্গলের জন্য কাজ না করলে কেউ তা অর্জন করতে পারে না এবং পাপ না করলে কেউ পাপের শাস্তি পায় না। সুতরাং তোমার কর্তব্যে তুমি এমন একজন বুদ্ধিমান, অভিজ্ঞ, শুভাকাঙথী ও জ্ঞানবানের মতো আচরণ করো যে তার উপরস্থকে মান্য করে এবং যে তার ইমামের অনুগত। তোমার ব্যাখ্যা দেয়ার মতো যা আছে তা আমি এড়িয়ে যেতে চাই। সম্পদ বাড়িয়ে তুলো না এবং দুঃখ-কষ্টে সাহস হারিয়ে ফেলো না। এখানে বিষয়টি শেষ করলাম ।
১। মুয়াবিয়া হজের সময় মক্কায় কিছু লোক প্রেরণ করেছিল। তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিল যেন তারা মক্কার শান্তিপূর্ণ অবস্থায় এ বলে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যে, আলী ইবনে আবি তালিব উসমানকে হত্যা করার জন্য জনগণকে প্ররোচিত করেছিল। এ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য তাকওয়া ও খোদাভীরুতা প্ৰদৰ্শন করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে তাদের নির্দেশ দিয়েছিল । এতে সেসব লোক মুয়াবিয়ার চরিত্র মহৎ বলে প্রচার করে এবং উসমানের মৃত্যুর জন্য আমিরুল মোমেনিনকে দায়ী করে প্রচার চালাতে থাকে। তারা মুয়াবিয়ার আচরণের মহত্ত্ব, দানশীলতা ও দয়ার নানা প্রকার গল্প ছড়াতে লাগলো। এ সংবাদ আমিরুল মোমেনিন জানতে পেরে উপরোক্ত পত্র লেখেছেন ।