আমিরুল মোমেনিন যখন খারিজিদের সাথে যুদ্ধ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তখন তাকে অবহিত করা হলো যে, খারিজিরা নাহরাওয়ান সেতু পার হয়ে ওপারে চলে গেছে। তখন তিনি বললেনঃ
নদীর ওপার তাদের পতন স্থল। আল্লাহর কসম, তাদের দশ জনও বাঁচতে পারবে না, অপরদিকে তোমাদের দশ জনও শহিদ হবে না”।
১। এ ভবিষ্যদ্বাণী শুধুমাত্র বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতা দ্বারা সম্ভব নয় কারণ দূরদর্শী চোখ শুধু জয় বা পরাজয় পূর্বানুমান করতে পারে, যুদ্ধের ফলাফল ধারণা করতে পারে, কিন্তু উভয় পক্ষের নিহতের সংখ্যা পূর্বাহ্নেই বলে দেয়া দূরদশীজনের ক্ষমতার বাইরে। এমন ভবিষ্যদ্বাণী তার পক্ষেই সম্ভব যিনি অজানা ভবিষ্যতকে উন্মোচন করতে পারেন এবং জ্ঞানের নূরের সাহায্যে ভবিষ্যতের পর্দায় আসন্ন দৃশ্যাবলী দেখতে পান। তাই রাসুলের জ্ঞানের উত্তরাধিকারী যা বলেছিলেন বাস্তবেও তা-ই হয়েছিল। খারিজগণের পলাতক নয় জন ছাড়া, বাকি সকলেই এ যুদ্ধে নিহত হয়েছিল এবং আমিরুল মোমেনিনের পক্ষের আট জন শহিদ হয়েছিল।