পরকালের পুরস্কার ও শাস্তি সম্পর্কে
সাবধান, দুনিয়া নিজেকে গুটিয়ে আনছে এবং প্রস্থান ঘোষণা করছে। এর পরিচিত বস্তুনিচয় অপরিচিত হয়ে গেছে এবং এটা দ্রুতবেগে পশ্চাতে সরে যাচ্ছে। দুনিয়া তার অধিবাসীদের ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং এর প্রতিবেশীদের মৃত্যুর দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এর মধুর জিনিসগুলোকে (ভোগ-বিলাস) তিক্ত করে দিয়েছে এবং স্বচ্ছ জিনিসগুলো মলিন হয়ে গেছে। ফলে যা অবশিষ্ট রয়েছে তা পাত্রের গায়ে লেগে থাকা পানির মতো অথবা পরিমাণে এক কুলি পানি। যদি তৃষ্ণার্তা ব্যক্তি এটুকু পান করে তবে তার তৃষ্ণা নিবারণ হয় না।
হে আল্লাহর বান্দাগণ, এ দুনিয়া পরিত্যাগের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও, কারণ দুনিয়াবাসীদের ধ্বংস অবধারিত। সাবধান, মনের কামনা-বাসনা ও লালসা যেন তোমাদেরকে বশীভূত না করে এবং তোমরা মনে করো না যে এখানে তোমরা চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। আল্লাহর কসম, যদি তোমরা শাবকহারা উস্ট্রির মতো কাদো, কবুতরের মতো কৃজন করো, অনুরক্ত নির্জনবাসীর (দরবেশ) মতো আওয়াজ করো এবং আল্লাহর নৈকট্য ও বাকা প্ৰাপ্তির জন্য তোমাদের সন্তান-সন্ততি ও সম্পদ পরিত্যাগ করে আল্লাহর দিকে মুখ ফেরাও তবুও তাঁর পুরষ্কারের তুলনায় তা কিছুই নয়, যা আমি তোমাদের জন্য প্রত্যাশা করি অথবা তাঁর শাস্তির তুলনায় কিছুই নয়, যা আমি তোমাদের জন্য আশঙ্কা করি।
আল্লাহর কসম, যদি তোমাদের হৃদয় সম্পূর্ণরূপে বিগলিত হতো, তাঁকে পাবার আশায় অথবা তাঁর ভয়ে তোমাদের চোখ দিয়ে রক্তাশ্রু বের হতো এবং যদি পৃথিবী বিলীন হওয়া পর্যন্ত তোমাদেরকে বেঁচে থাকতে দেয়া হতো। তবুও তোমাদের আমল তার রহমতের এক কণার সমতুল্য হবে না এবং তোমাদেরকে ইমানের পথে পরিচালনার প্রতিদান হবে না।
এ খোৎবায় কুরবানির পশুর গুণাগুণ সম্পর্কে বলেনঃ
কুরবানির সম্পূর্ণ উপযোগী পশুর জন্য অত্যাবশ্যক হলো— এর কানগুলো ওপরের দিকে খাড়া হতে হবে এবং চোখগুলো সুস্থ (ভালো) হতে হবে। যদি চোখ আর কান সুস্থ হয় তবেই কুরবানির পশু অটুট ও যথার্থ বলে ধরা যায়; হোক না। এর শিং ভাঙ্গা অথবা পা হেঁচড়ে হেঁচড়ে (খুঁড়িয়ে) সেটা কুরবানির জায়গায় যায় ।