অনুচরদের প্রতি উপদেশ সালাত সম্পর্কে সালাতে নিজকে ব্রত করো এবং এতে দৃঢ় থেকে; যত বেশি পারো সালাত কায়েম করো এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অনুসন্ধান করো। নির্ধারিত সময়ের সালাত মোমিনদের জন্য অত্যাবশ্যক (কুরআন—৪ ? ১০৩) / তোমরা কি দোযখবাসীদের জিজ্ঞাসার জবাব শুনতে পাও নি ? কিসে তোমাদেরকে সাকারে (জাহান্নামের অপর নাম) নিক্ষেপ করেছে? তারা বললো, ଐ/i>/<i] !?tiଛି fଝିଙ୍କti>| ft (ବୁଦ୍ଦିନୀ ଏify — q8 8 8୯-8v୬) ।
নিশ্চয়ই, বাতাস যেভাবে গাছের পাতা ঝরায় সালাত সেভাবে পাপকে ঝরিয়ে দেয় এবং গরুর ঘাড় থেকে যেভাবে রশি সরিয়ে ফেলা হয় সেভাবে পাপকে সরিয়ে দেয়। আল্লাহর রাসুল সালাতকে দৈনিক পাঁচবার গরম পানিতে গোসলের সাথে তুলনা করতেন। এরপরও কি কারো গায়ে ময়লা থাকতে পারে? সেসব মোমিন কর্তৃক এর দায়িত্ব স্বীকৃত হয়েছে যাদেরকে ঐশ্বর্যের প্রাচুর্য বা সন্তান-সন্ততির কারণে চোখের শীতলতা সালাত থেকে ফিরিয়ে নিতে পারে নি। মহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ সেসব লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর জেকের থেকে, সালাত কায়েম এবং জাকাত থেকে বিরত রাখে না, তারা ভয় করে সে দিনকে যে দিন তাদের অন্তর ও দৃষ্টি উল্টে যাবে (কুরআন —২৪ ঃ ৩৭) আল্লাহর রাসুল বেহেশতের নিশ্চয়তা পাওয়ার পরও সালাত কায়েম করতেন। কারণ মহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ এবং তোমার পরিবারবর্গকে সালাত কায়েমের আদেশ দাও এবং নিজেও তাতে অবিচল থাকে …….. (3ệ57 AO777—TRO S SOIR) জাকাত সম্পর্কে তারপর সালাতের সাথে জাকােতও আরোপিত হয়েছে ত্যাগ হিসাবে । যে জাকাত আদায় করে তার আত্মা পবিত্ৰতা লাভ করে। কারণ এটা বিশোধক হিসাবে কাজ করে এবং দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাবার বর্ম হিসাবে কাজ করে। সুতরাং জাকাত প্রদানের পর এর প্রতি কোনরূপ আসক্তি অনুভব করো না এবং এর কারণে শোকাহতও হয়ে না। আত্মার বিশুদ্ধির নিয়্যত ব্যতীত জাকাত প্ৰদান করলে প্ৰাপ্য অপেক্ষা অধিক কিছু আশা করা হয়। নিশ্চয়ই, সুন্নাহ সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তি জাকাতের জন্য কোন পুরস্কার পাবে না; তার সকল আমল নষ্ট হয়ে যায় এবং তার তওবা বৃথা যায়। আমানতের প্রতি দায়িত্ব পরিপূরণ যে কেউ আল্লাহর আমানতের (কুরআন) প্রতি দায়িত্ব পরিপূরণে অমনোযোগী হবে সে হতাশাগ্ৰস্থ হবে। শক্তিশালী আকাশ, বিশাল পৃথিবী ও সুউচ্চ পর্বতের সম্মুখে কুরআনকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু কেউ তা অপেক্ষা শক্তিশালী, বিশাল অথবা উচ্চ প্রমাণিত হয় নি। ওরা কুরআনের প্রতি দায়িত্ব পরিপূরণে ব্যর্থতার ভয়ে ভীত হয়ে গেল এবং লক্ষ্য করেছিল যে, একটা দুর্বল সত্তা এ গুরুদায়িত্ব অনুধাবন করতে পারে নি— এরা হলো মানুষ। মহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আমি তো আসমান, জমিন ও পর্বতমালার প্রতি এ আমানত অৰ্পণ করেছিলাম, ওরা এটা বহন করতে অস্বীকার করলো এবং তাতে শঙ্কিত হলো, কিন্তু মানুষ তা বহন করলো, সে তো অতিশয় জালিম, অতিশয় অজ্ঞ (কুরআন —৩৩ ? ৭২) নিশ্চয়ই, আল্লাহ মহিমান্বিত। মানুষ দিনে অথবা রাতে যা করে তার কোন কিছুই তার কাছে গোপন থাকে না। তিনি সবকিছু বিস্তারিত জানেন এবং তাঁর জ্ঞানে সবকিছু ধারণ করা আছে। তোমাদের
বাতেন তার চোখের মতো কাজ করে (যা তোমাদের পাপকে পাহারা দেয়) এবং তোমাদের একাকীত্ব তার কাছে প্ৰকাশ্য ।