আমিরুল মোমেনিন যখন সংবাদ পেলেন যে, তালহা ও জুবায়ের তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বসরা অভিমুখে যাত্ৰা করেছে তখন তিনি তালহা। ইবনে উবায়দিল্লাহ সম্পর্কে বলেনঃ আমি কখনো যুদ্ধের জন্য ভীত হই নি বা ন্যায়ের স্বার্থে আঘাত করতে ভয় পাই নি। কারণ আমার প্রতি আল্লাহর সাহায্যের প্রতিশ্রুতিতে আমি সন্তুষ্ট। আল্লাহর কসম, তালহা তাড়াহুড়া করে উসমানের রক্তের বদলা নেয়ার ধুয়া তুলে তরবারি উন্মুক্ত করেছে। এ ভয়ে যে, পাছে উসমানের রক্তের দায়-দায়িত্ব তার ঘাড়ে পড়ে। কারণ এ ব্যাপারে তার সম্বন্ধে জনগণের ধারণা ও প্রকৃত অবস্থা হলো উসমানকে হত্যা করার জন্য তালহা সবচাইতে বেশি উদ্বিগ্ন ছিল। সুতরাং সে সৈন্য সংগ্রহ করে তার দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সংশয় ও ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করেছে এবং বিষয়টিতে তালগোল পাকিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। আল্লাহর কসম, উসমান সম্বন্ধে তিনটি পথের কোনটিতেই সে কাজ করে নি। প্রথমত তালহার বিশ্বাস অনুযায়ী ইবনে আফফান (উসমান)। যদি অন্যায় করে থাকে। তবে তালহার জন্য প্রয়োজনীয় হলো তাদের সমর্থন করা যারা উসমানকে হত্যা করেছে অথবা উসমানের সমর্থকদের থেকে দূরে সরে থাকা । দ্বিতীয়ত যদি উসমান জুলুমের শিকার হয়ে থাকে তাহলে তালহা তাদের মধ্যে ছিল যারা উসমানকে আক্রমণের সময় দূরে সরে ছিল অথবা নানা প্রকার ওজর উত্থাপন করেছিল। তৃতীয়ত যদি এ দুটি বিকল্পে তালহার কোন সংশয় থাকতো তাহলে তালহার অবশ্য কর্তব্য ছিল উসমানকে পরিত্যাগ করা ও একদিকে সরে পড়া। কিন্তু সে এ তিনটি পথের কোনটি অবলম্বন করে নি। বরং এমন একটা জিনিস নিয়ে এসেছে যাতে কোন মঙ্গল নেই এবং তার কোন ওজর গ্রহণযোগ্য নয় ।