জামালের যুদ্ধে যখন আল্লাহ আমিরুল মোমেনিনকে শত্রুপক্ষের ওপর বিজয়ী করলেন তখন তার একজন অনুচর বললেন, “হায়! আমার ভাই অমুক যদি যুদ্ধে উপস্থিত থাকতো তাহলে সেও দেখতে পেতো আল্লাহ। আপনাকে কেমন সাফল্য ও বিজয় দান করেছেন।” একথা শুনে আমিরুল মোমেনিন। জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার ভাই কি আমাকে বন্ধু বলে জানে?” সে বললো, “জি হাঁ।” আমিরুল মোমেনিন তখন বললেন, “তাহলে সে আমাদের সঙ্গেই ছিল।*।। আমাদের এ
সৈন্যবাহিনীতে তারাও উপস্থিত ছিল যারা এখনো পুরুষের ঔরসে ও নারীর জরায়ুতে রয়েছে। সহসাই সময় তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে এবং তাদের মাধ্যমে ইমান শক্তি লাভ করবে।” ”
১। উপায় ও উপকরণ থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ কর্মসাধনে ব্যর্থ হয় তা তার ঐকান্তিকতার অভাব নির্দেশক। কিন্তু কর্মসাধনে যদি কোন প্রতিবন্ধকতা থাকে অথবা জীবনের সমাপ্তিতে কর্ম অসমাপ্ত থেকে যায়। সেক্ষেত্রে কর্মের জন্য পুরস্কার থেকে আল্লাহ তাকে বঞ্চিত করবেন না। কারণ কর্ম নিয়্যত দ্বারাই বিচার্য হয়। যেহেতু তার নিয়্যত ছিল কর্ম সম্পাদনের জন্যই সেহেতু সে কিছুটা পুরস্কার পাবার যোগ্য।
কোন কোন ক্ষেত্রে কর্মের পুরস্কার নাও থাকতে পারে কারণ কর্ম লোক দেখানো (রিয়া) অথবা ভান হতে পারে। কিন্তু নিয়্যত হৃদয়ের গভীরে লুক্কায়িত থাকে। ফলে এতে এক ফোটাও রিয়া অথবা মোহ থাকতে পারে না। প্রতিবন্ধকতার কারণে কর্মসাধন সম্ভব না হলেও নিয়্যতে সর্বদা একই স্তরের অকপটতা, সততা, পরিপূর্ণতা ও সঠিকতা থাকতে হবে। নিয়্যত করার অবস্থা না থাকলেও কর্ম সাধনের জন্য যদি হৃদয়ে আবেগ ও উচ্ছাস থাকে। তবে হৃদয়ের সে অনুভূতির জন্য পুরস্কার পেতে পারে। এ কারণেই আমিরুল মোমেনিন বলেছেন,” যদি তোমার ভাই আমাকে ভালোবেসে থাকে। তবে সে তাদের সঙ্গে পুরস্কারের অংশ পাবে যারা আমাদের সমর্থন করে শহিদ হয়েছে।”