আশুরার দিন অর্থাৎ ১০ই মহরম রোজা রাখা যাবে কি ?
জবাব –
গাদীর এ খুম নামক স্থানে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কতৃক নির্বাচিত পবিত্র ইমাম (আঃ) গনের মতামত বা বানী ——-
জাফর বিন ঈসা নামক এক ব্যক্তি অষ্টম ইমাম রেযা (আঃ) কে আশুরার দিনে রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে —
ইমাম রেযা (আঃ) বলেন যে , তুমি কি আমাকে ইবনে মারজানার (ওবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ) রোজা সম্পর্কে প্রশ্ন করছ ?
ইবনে যিয়াদের বংশধরগণ ইমাম হুসাইন (আঃ) কে হত্যা করার খুশীতে রোজা রাখে ।
আশুরার দিনটি রাসুল (সাঃ) এর বংশধরগণ এবং পবিত্র তাঁর আহলে বাইত (আঃ) দের জন্য একটি ভয়াবহ নির্মম , অশুভ ও শোকের দিন ।
আর অশুভ দিনে রোজা রাখা জায়েজ বা শুভ না ।
রাসুল (সাঃ) সোমবারে মারা যান সেদিন হচ্ছে মুসলমানদের জন্য একটি অশুভ দিন ।
আর মুসলমানদের শত্রুরা সোমবার এবং আশুরার দিনটিকে তাদের জন্য অত্যন্ত মোবারক ও আনন্দের দিন বলে মনে করে ।
এবারে —
যখন যোরারে ষষ্ঠ ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) কে আশুরার দিনে রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে –
ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) তার উত্তরে বলেন যে , আশুরার দিনে যে ব্যক্তি রোজা রাখবে তার ভাগ্য হবে ইবনে যিয়াদের ভাগ্যের ন্যায় ।
আমি ইমাম (আঃ) কে জিজ্ঞাসা করলোম যে , কি ধরণের ভাগ্য ?
ইমাম (আঃ) বলেন , শুধু আগুন ।
সূত্র – ইসতেবসার , খন্ড ২ , পৃষ্ঠা ১৩৫ ।
সম্মানীয় পাঠক ,
আশুরা বা দশই মহরমের দিনে রোজা রাখা সম্পর্কে –
লেখাটিতে গাদীর এ খুমে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কতৃক নির্বাচিত ও মনোনীত পবিত্র ইমাম (আঃ) গনের বানী তুলে ধরা হয়েছে ।
এখন আপনি আশুরার দিনে রোজা রাখবেন কি রাখবেন না , সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত অভিরুচি ।
কারন মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত মহান আল্লাহ আপনাকে বিচার বিবেচনার জন্য প্রচুর স্বাধীনতা দিয়েছেন ।
সবশেষে একটি বিনীত অনুরোধ —
অতীতে অজ্ঞতাঃবশত যা হওয়ার হয়ে গেছে । ক্ষমাশীল মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই ক্ষমা করবেন , ইনশা আল্লাহ ।
জাফরী ফিকহার শ্রদ্বেয় মুজতাহিদগনের ঐক্যমত হল যে , আশুরার দিন রোজা রাখা হারাম । এখন থেকে আশুরার দিনে রোজা পালন সম্পূর্ন পরিহার করাই সর্বোত্তম ।
skl
জাফর বিন ঈসা নামক এক ব্যক্তি অষ্টম ইমাম রেযা (আঃ) কে আশুরার দিনে রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে —
ইমাম রেযা (আঃ) বলেন যে , তুমি কি আমাকে ইবনে মারজানার (ওবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ) রোজা সম্পর্কে প্রশ্ন করছ ?
ইবনে যিয়াদের বংশধরগণ ইমাম হুসাইন (আঃ) কে হত্যা করার খুশীতে রোজা রাখে ।
আশুরার দিনটি রাসুল (সাঃ) এর বংশধরগণ এবং পবিত্র তাঁর আহলে বাইত (আঃ) দের জন্য একটি ভয়াবহ নির্মম , অশুভ ও শোকের দিন ।
আর অশুভ দিনে রোজা রাখা জায়েজ বা শুভ না ।
রাসুল (সাঃ) সোমবারে মারা যান সেদিন হচ্ছে মুসলমানদের জন্য একটি অশুভ দিন ।
আর মুসলমানদের শত্রুরা সোমবার এবং আশুরার দিনটিকে তাদের জন্য অত্যন্ত মোবারক ও আনন্দের দিন বলে মনে করে ।
এবারে —
যখন যোরারে ষষ্ঠ ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) কে আশুরার দিনে রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে –
ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) তার উত্তরে বলেন যে , আশুরার দিনে যে ব্যক্তি রোজা রাখবে তার ভাগ্য হবে ইবনে যিয়াদের ভাগ্যের ন্যায় ।
আমি ইমাম (আঃ) কে জিজ্ঞাসা করলোম যে , কি ধরণের ভাগ্য ?
ইমাম (আঃ) বলেন , শুধু আগুন ।
সূত্র – ইসতেবসার , খন্ড ২ , পৃষ্ঠা ১৩৫ ।
সম্মানীয় পাঠক ,
আশুরা বা দশই মহরমের দিনে রোজা রাখা সম্পর্কে –
লেখাটিতে গাদীর এ খুমে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কতৃক নির্বাচিত ও মনোনীত পবিত্র ইমাম (আঃ) গনের বানী তুলে ধরা হয়েছে ।
এখন আপনি আশুরার দিনে রোজা রাখবেন কি রাখবেন না , সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত অভিরুচি ।
কারন মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত মহান আল্লাহ আপনাকে বিচার বিবেচনার জন্য প্রচুর স্বাধীনতা দিয়েছেন ।
সবশেষে একটি বিনীত অনুরোধ —
অতীতে অজ্ঞতাঃবশত যা হওয়ার হয়ে গেছে । ক্ষমাশীল মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই ক্ষমা করবেন , ইনশা আল্লাহ ।
জাফরী ফিকহার শ্রদ্বেয় মুজতাহিদগনের ঐক্যমত হল যে , আশুরার দিন রোজা রাখা হারাম । এখন থেকে আশুরার দিনে রোজা পালন সম্পূর্ন পরিহার করাই সর্বোত্তম ।
skl